সংবাদপত্র ও বার্তা সংস্থার সাংবাদিক ও শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য গঠিত নবম মজুরি কাঠামো (ওয়েজ বোর্ড) কেন অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। তথ্য সচিব, শ্রম সচিব ও ওয়েজ বোর্ডের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোঃ নিজামুল হককে দুই সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মোঃ আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ গত রবিবার এই আদেশ দেন।
গত ২৯ জানুয়ারি নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন করে সরকার। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মোঃ নিজামুল হককে প্রধান করে ১৩ সদস্যের এই ওয়েজ বোর্ড গঠন করে আদেশ জারি করে তথ্য মন্ত্রণালয়। নিউজপেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)-এর পক্ষে সংগঠনটির সভাপতি ও দৈনিক প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান গত মে মাসে হাইকোর্টে রিট করেন।
রিটে বলা হয়, রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড গঠন করার ক্ষমতা শ্রম মন্ত্রণালয়ের। কিন্তু ওয়েজ বোর্ড গঠন করে দিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। যা এখতিয়ার বহির্ভূত। রিটে আরো বলা হয়, শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন পরিদপ্তর। এই পরিদপ্তরের অধীনে প্রায় ৫শ’ পরিদর্শক রয়েছেন। ওয়েজ বোর্ড কার্যকরের জন্য এই প্রতিষ্ঠানের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। কারণ হাতে গোনা কয়েকটি পত্রিকা ছাড়া কেউই ওয়েজ বার্ড বাস্তবায়ন করে না। এ কারণে নজরদারির জন্য শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীনে এটা করা দরকার। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এম. ইউসুফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একরামুল হক টুটুল। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল জারি করে। সাংবাদিক ও শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য ২০১৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অষ্টম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা করে সরকার। ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে তা কার্যকর হয়।